মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার অনুমোদিত অনলাইন গণমাধ্যম
BD.GOV.REG.NO-88

মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার অনুমোদিত অনলাইন গণমাধ্যম
BD.GOV.REG.NO-88

আপনি পড়ছেন : ঢাকা

তিন বছরেও মিলেনি চুড়িহাট্টার আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ


নিজস্ব প্রতিবেদক
DhakaReport24.com || 2022-02-20 18:55:45
তিন বছরেও মিলেনি চুড়িহাট্টার আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ

আজ রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের সেই ভয়াবহ দিন। রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যাওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার শুরু হয়নি। তবে সম্প্রতি মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করায় খুব শীঘ্র বিচার শুরু হবে বলে আশা করেছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

মামলাটি তদন্ত করে প্রায় তিন বছর পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াহেদ ম্যানশন ভবনের মালিক দুই ভাইসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা চশবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল কাইউম। আগামী ২৩ মার্চ চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
 
দিনটি স্মরণে স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ওই এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের পর ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর সমন্বয়ে ‘চুড়িহাট্টা অগ্নিকান্ডে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সংস্থা’ গঠন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ এ ঘটনায় ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে গনশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য ডিএসসিসি’র তৎকালীন মেয়র সাইদ খোকন বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে থেকে ২১টি পরিবারের সদস্যকে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক মাস্টাররোল পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরি, ৪টি পরিবারের মাঝে আর্থিক ক্ষতিপূরণ বাবদ দুই লাখ টাকার চেক প্রদান ও দুইটি পরিবারকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার জন্য কাগজ প্রদান করেন।

চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সংস্থার সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, দুইটি দোকান বরাদ্দের স্থানটিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ময়লা ফেলার এসটিএস নির্মাণ করেছে। দোকান বরাদ্দ নিতে গেলে কর্তৃপক্ষ জানায় যে প্রতিটি দোকানের জন্য ১২ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। মেয়রের প্রতিশ্রুত কাউকেই চাকরি দেওয়া হয়নি। এমনকি ৪টি পরিবারকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আমরা যাদের হারিয়েছি, তাদের অনেকেই আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে যে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে সেটিই একমাত্র সহায়তা। পরবর্তীতে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি কোনও ক্ষতিপূরণ কিংবা সাহায্য আমাদেরকে প্রদান করা হয়নি। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে উপার্জনের উৎস হারিয়ে আমরা বর্তমানে নিদারুণ আর্থিক, মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে আছি।

ঢাকারিপোর্ট২৪/এসএইচএন/আরএএম