বিশ্বের প্রধান কৃষি পণ্য রফতানিকারক দুই দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়া। এ দুই দেশের যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা সোমবার এ কথা বলেন।
এক বৈঠকে ইইউ কৃষিমন্ত্রীরা বলেছেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ইউরোপীয় ব্লক ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাষের এলাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এসব জমি খামারের উৎপাদনের জন্য ন্যস্ত করা হবে। পশু খাদ্য আমদানি বিধিনিষেধ সহজ করা হবে এবং ইইউর কৃষকদের সরাসরি সহযোগিতা আরো বাড়ানো হবে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইভেস লে ড্রিয়ান সমপক্ষীয়দের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বলেন, সংঘাত ‘শীঘ্রই দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি নিয়ে আসবে’ শুধু ইউরোপের খাদ্য নিরাপত্তাকেই প্রভাবিত করবে না বরং বিশ্বকে প্রভাবিত করবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, কারণ আমরা জানি শস্য উৎপাদনে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে থাকা ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। খামারে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ দুটি সার, বিশেষ করে গম, ভুট্টা, রেপসিড, সূর্যমুখী বীজ ও সূর্যমুখী তেল রফতানি করে।
রাশিয়া নাইট্রোজেন সারের বৃহত্তম সরবরাহকারী এবং পটাশিক ও ফসফরাস সারের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। যুদ্ধের কারণে সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সার ও শস্যের আন্তর্জাতিক বাজারে ৮ থেকে ২২ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সূত্র : রয়টার্স।
ঢাকারিপোর্ট২৪.কম/আরএ/আরএএম