চৈত্রের তাপদাহে বরিশালে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সূর্য ওঠার পরপরই ক্রমশই বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসহনীয় তাপদাহে গরম বাড়তে থাকে।
দিনে ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। বরিশাল নগরীতে তারপরেও গরমে খানিকটা স্বস্তি এনে শরীর-মনে প্রশান্তি দেয় ডাব ও লেবুর শরবত। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লেবু ও আখের শরবত, ঠান্ডা লাচ্ছি, কাঁচা আম, তরমুজ, পেপের জুস ও ডাবের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া ফুটপাতে ফালি করে সাজিয়ে রাখা শসা, গাজর, পেপের দোকানেও ক্রেতাদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
নগরীর ব্যস্ততম অশ্বিনী কুমার হল চত্বরের সামনে আফসার উদ্দিন নামে এক রিকশাচালক বলেন, 'অনেক গরম, এর মধ্যে রিকশা চালাইলে খুব কষ্ট হয়, হ্যারপান্নে একটু লেবুর শরবত খাইতে আইছি।'
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মরিয়ম আক্তার নামে এক রোগীর স্বজন বলেন,'গরমের সিজন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বরিশালে প্রচন্ড গরম তাই রোগীর জন্য ডাব নিতে এসেছি। এই গরমে একটু হলেও সস্তি মিলবে।'
নগরীর ভ্রাম্যমান ডাব বিক্রেতা নান্টু ফকির বলেন, 'গরমে ডাবের বেচাকেনা খুব ভালো। আমরা প্রতিটি ডাব প্রকারভেদে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা করে বিক্রি করে থাকি।'
তাপমাত্রার চেয়ে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। বুধবার বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে গাছের তলায়-ছায়ায় বিশ্রাম নিয়ে প্রশান্তি খুঁজছেন। আবার অনেকে গরমের উত্তাপে অসহ্য হয়ে নদী-পুকুর কিংবা জলাশয়ে দীর্ঘ সময় সাঁতার কেটে গাঁ দেহ-মনের স্বস্তি আনছেন।
ঢাকারিপোর্ট২৪.কম/এএন/আরএএম