মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার অনুমোদিত অনলাইন গণমাধ্যম
BD.GOV.REG.NO-88

মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার অনুমোদিত অনলাইন গণমাধ্যম
BD.GOV.REG.NO-88

আপনি পড়ছেন : অর্থনীতি

বাংলাদেশ শীর্ষ ৫ সহনশীল অর্থনীতির দেশের একটি : অর্থমন্ত্রী


DhakaReport24.com || 2021-09-14 22:03:15
বাংলাদেশ শীর্ষ ৫ সহনশীল অর্থনীতির দেশের একটি : অর্থমন্ত্রী



অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় খুঁজে বের করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া করোনা মহামারির প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে থাকার কথা জানান তিনি। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপে বাংলাদেশের অর্থনীতির এই অবস্থানে উঠে আসার তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

গতকাল সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১-এ অংশগ্রহণ করে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কমনওয়েলথভুক্ত মানব সম্প্রদায়ের কাছে আশার একটি আলোক প্রদর্শন করার মানসে এবারের সামিটের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কমনওয়েলথ ট্রেড: দি লেভার ফর ফিউচার প্রোসপ্রারিটি’। করোনাকালে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনোয়োগ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করতে সদস্য দেশগুলো থেকে বিশিষ্ট বক্তিবর্গ ‘কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১’ এর ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে জড়ো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সবাই অবগত যে কোভিড-১৯ মহামারিজনিত কারণে গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে,  যেখানে কমনওয়েলথভুক্ত অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হ্রাসের অন্যতম প্রধান নিয়ামক। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা- ইউএনসিটিএডি’র একটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে- ২০২০ সালে গ্লোবাল ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট হ্রাস পেয়েছে ৪২ শতাংশ। আর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমনওয়েলথ অর্থনীতি ৫০ শতাংশেরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পটভূমিতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই একটি শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে বের করাই আজকের এই সভার উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত এক দশকে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী তার দূরদর্শী নেতৃত্বে, প্রাথমিক পর্যায়ে এই মহামারির ক্ষতিকর প্রভাবের তীব্রতা অনুধাবন করে মহামারি থেকে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে জিডিপির ৬ দশমিক ২৩ শতাংশের সমান ২২ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ যার সুফল ভোগ করে চলেছে। 

তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালের আইএমএফের অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে গড় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ শতাংশের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যায়, সে সময়ে অতি অল্প কয়েকটি ইতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী, মহামারি প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।

সভায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী এবং বাণিজ্য বোর্ডের সভাপতি এলিজাবেথ ট্রাসসহ আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। সকলেই কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনোয়োগ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করতে একসাথে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।