বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়ালো
DhakaReport24.com || 2020-12-12 21:14:30
সংক্রমণ বৃদ্ধি ও একইসাথে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর মিছিলের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত যেন আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়েই শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।
সারাবিশ্বে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে আর আক্রান্তের সংখ্যাও সাত কোটি পার হয়েছে।
জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার তথ্য অনুসারে, বৈশ্বিক এ মহামারিতে আক্রান্তের হার দ্রুত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭১৭ জন। আর বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১ হাজার ১৮৯ জনে। ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৭ হাজার ৪১৯ জন।
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্র করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে যায়। আজ পর্যন্ত শীর্ষস্থানেই রয়েছে দেশটিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৮ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২ হাজার ৭৫০ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ও মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে করোনার সংক্রমণ কমেছে। দেশটিকে মোট আক্রান্ত ৯৮ লাখ ২৭ হাজার ২৬ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৬২ জন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৩ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৫৩ জনের।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ, ফ্রান্স পঞ্চম, যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ ও ইতালি সপ্তম স্থানে রয়েছে। আর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় যে বিষয়টি তা হলো, এই এক বছরের মধ্যে চীন সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থান থেকে ৭৯ নম্বর স্থানে নেমে এসেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনার উৎস কী এখনো তা নিয়ে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। প্রথম দিকে যেমন জল্পনা চলছিল চীনে উহানের ল্যাব থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। বায়োকেমিক্যাল অস্ত্র তৈরি করতে গিয়েই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। এই তথ্যকে চীন যেমন মান্যতা দেয়নি, তেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই অভিযোগগুলোকে নস্যাৎ করেছে।